ফজলুল করিম নাহিদ, চট্টগ্রাম
রাউজানে উন্নয়ন ও শান্তি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, কৃষি, এবং সামাজিক উন্নয়নেও অনেক প্রকল্প চলছে, অন্যদিকে হত্যা ও সন্ত্রাস সংক্রান্ত ঘটনাও ঘটছে। এই অবস্থায়, স্থানীয় জনগন ও প্রশাসনকে সাথে নিয়ে, শান্তি এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন এনসিপির নেতা সমাজ কর্মী লায়ন জাহেদুল করিম বাপ্পি সিকদার।
এক সময় ‘সন্ত্রাসের জনপদ’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া রাউজানে মানুষের আশা ছিল ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে, আওয়ামী লীগের এমপি এবিএম ফজলে করিমের ‘পতনের পর’ বন্ধ হবে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও খুনের রাজনীতি। কিন্তু বিএনপির দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি, বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তারের কারণে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে রাজনৈতিক সন্ত্রাসীরা। গ্রুপিং, আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে ঘটছে একের পর এক হত্যার ঘটনা।
৫ আগস্টের আগে স্বৈরাচার সরকার বাংলাদেশ শাসন করেছে। ওই সময় রাউজানের মানুষও অসহায় ছিল। সাধারণ মানুষ এলাকায় থাকতে পারেনি।
রাউজানে ১৭ বছর ধরে যে ধরনের কর্মকাণ্ড চলেছে এখন আর সেভাবে চলবে না। কোনো চাঁদাবাজি, দখলদারিত্বের রাজনীতি করা যাবে না। কোনো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীকে আমরা দলীয়ভাবে প্রশ্রয় দেব না।
৫ আগস্ট পরবর্তী কিছু বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ও মারামারি ঘটনা ঘটলেও হত্যাকাণ্ড শুরু হয় ২৮ আগস্ট থেকে।
সম্প্রতি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। “সন্ত্রাসের জনপদ” হিসেবে পরিচিতি পাওয়া রাউজানে এখন শান্তি আসবে বলে আশা করা হলেও, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও খুনের মতো ঘটনা ঘটছে।আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে র্যাব ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে।
লায়ন জাহেদুল করিম বাপ্পি বলেন, এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ দিনরাতে কাজ করছে। আমরা (এনসিপি) রাউজানকে শান্ত রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। যারা অপরাধ তৎপরতা চালাচ্ছে বা অপরাধ কর্মকাণ্ড করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন প্রশাসন।
এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, স্থানীয় প্রশাসনের সাথে জাতীয় নাগরিক পাটি (এনসিপি) রাউজান শাখা শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করছে।পাশাপাশি দক্ষিণ রাউজানের প্রাণকেন্দ্র নোয়াপাড়াতে র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প প্রতিষ্টিত হলে আইনশৃঙ্খলা অনেকাংশে উন্নতি হবে আশা করছে সাধারণ জনগণ।